ম্যাচের পর সতীর্থদের উদ্যাপনের মধ্যমণি হয়ে রইল সুরভি আকন্দ। অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার দিনে হ্যাটট্রিক করেছিল সুরভি। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ সেই ভুটানের বিপক্ষে ডাবল হ্যাটট্রিক পেয়ে গেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলের এই কিশোরী।
ভুটানকে ৯-০ গোলে হারানোর ম্যাচে ৬টি গোলই করেছে সুরভি। ১টি করে গোল নুসরাত জাহান, আয়েশা আক্তার ও থুইনু মারমার। দুই ম্যাচে ৯ গোল করে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা সুরভি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫টি গোল নেপালের বর্ষা ওলির।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১১ নভেম্বর। নেপালের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ।
৫ নভেম্বর নেপালের কাছে হারের পর সুরভির মনটা ছিল ভীষণ খারাপ। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে প্রতিটি ম্যাচই জেতা জরুরি বাংলাদেশের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক পেলেও নেপালের বিপক্ষে তাকে একাদশে রাখেননি কোচ। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমেও নেপালের বিপক্ষে গোল করতে পারেনি সুরভি।

ছবি: বাফুফে
ভুটানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেও বদলি হিসেবে নামে এই স্ট্রাইকার। মাঠে নেমে ২২ মিনিটের ব্যবধানে সেদিন হ্যাটট্রিক করে সুরভি। এরপরও নেপালের বিপক্ষে একাদশে ছিল না সুরভির নাম। সেই ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে হেরে।
তাই তো বাধ্য হয়েই সুরভিকে আজ শুরু থেকে খেলিয়েছেন কোচ। নেপালের বিপক্ষে আগের ম্যাচের একাদশ থেকে অবশ্য আজ চারটি পরিবর্তন আনেন তিনি। সুরভি ছাড়াও পূজা দাস, অনন্যা মুর্মু ও সুলতানা আক্তারকে দলে ঢোকান গোলাম রব্বানী। অবশ্য পূজা, অনন্যার চেয়ে সবচেয়ে ভালোভাবে কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছে সুরভি।