প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিতর্কের মাঝেই নতুন বিতর্কের শুরু। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার একটি প্রশ্নে লেখক আনিসুল হক এবং উচ্চশিক্ষিত স্বাবলম্বী অবিবাহিতা নারীদের হেয় করার অভিযোগ উঠেছে। এসব কাণ্ডে সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
নেপাল-গোপাল নামে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব এক সময় হিন্দু-মুসলিম অসম্প্রীতির দিকে গড়ালো এইচএসসি’র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে। সেই প্রশ্ন যাদের মগজ ও মনন প্রসূত, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার আগেই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এ প্রশ্নপত্র বিস্ময় জাগিয়েছে। এতে লেখক আনিসুল হক সম্পর্কে বলা হয়েছে- লেখক হিসেবে আনিসুল হক সমাদৃত নন এবং ব্যর্থ।
একটি বোর্ডের প্রশ্নে এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে একজন লেখকের জন্য মানহানিকর। এখানেই শেষ নয়, পরের প্রশ্নটি ফারজানা নামের একজন কলেজ শিক্ষিকার একা থাকার বিষয়টি এমনভাবে বলা হয়েছে, যাতে মনে হতে পারে- অল্প বয়সেই বিয়ে করা দরকার, অবিবাহিত মানুষ স্বাবলম্বী হলেও সেভাবে সুখী নন।
এমন সব আজগুবি প্রশ্ন দেখে বিস্মিত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। সাবেক শিক্ষা সচিব এন আই খান বলছেন- পদ্ধতি নয়, সেটি যথাযথ প্রয়োগ না করতে পারাই সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- প্রশ্ন করার দায়িত্ব নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত শিক্ষককে দেয়া দরকার। কেউ আবার সমাধান দেখছেন প্রশ্নব্যাংকে। তদন্ত, বিচার, সতর্কতা তো চাইছেনই, সেই সঙ্গে কোনো অসাধু মহল বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে এসব করছে কিনা, সে ব্যাপারেও সজাগ থাকার পরামর্শ তাদের।